একটি
সম্পর্ক যখন গড়ে ওঠে তখন তা অনেক ভালবাসা আর প্রত্যাশা নিয়েই শুরু হয়।
তারপর তা সময়ের ধারায় চলতে থাকে। কিন্তু সব সম্পর্ক দীর্ঘস্থায়ী হয় খুব
কমই। কোন না কোন কারণে সেখানে দেখা দেয় ফাটল এর পরিণতি গড়ায় ব্রেকআপে
গিয়ে। আমাদের আগের একটি বিষয় ছিল ব্রেকআপের পর ছেলেদের নিয়ে। সেখানে
আমরা বলেছিলাম মেয়েরা অনেক বেশি ভেঙে পড়লেও তা সামলে ওঠে তাড়াতাড়ি।
কিন্তু অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় অনেক মেয়েই সামলে উঠতে হিমশিম খাচ্ছেন।
কেননা মেয়েরা অনেকটাই আত্মকেন্দ্রিক হয়ে থাকেন। ফলে তারা সহজেই তাদের
কষ্টের কথা কারো সাথে শেয়ার করতে চাননা একেবারেই ঘনিষ্ঠ বন্ধু ছাড়া। ফলে
তাদেরকে অনেক পর্যায় পার করতে হয়। দেখে নেয়া যাক মেয়েদের ব্রেকআপের
পরের পর্যায়গুলো কেমন হয়।
ব্রেকআপের ঠিক পরবর্তী পর্যায়:
এই সময়টা একটা মেয়ের জীবনের সব চাইতে খারাপ সময়। ব্রেকআপটা তার নিজের ইচ্ছায় হোক বা না হোক। সে অনেক ইমোশনাল থাকে। অনেকেই এ ক্ষেত্রে তীব্র ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে নিয়ে নেন ভুল সিদ্ধান্ত। সম্পর্ক ভেঙে চলে আসার পর হয়ত বাড়িতে জানিয়ে দেন তিনি বিয়ের জন্য প্রস্তুত। তারপর ধীরে ধীরে নিজের ভুল বুঝতে পারেন কিন্তু ততদিনে দেরি হয়ে গেছে বেশ। আবার অনেকেই এমন সিদ্ধান্ত না নিলেও ভেঙে পড়েন একেবারেই। নিজের জীবনের মূল্যই নেই এমনটিও ভাবেন অনেকে। চেষ্টা করেন আত্মহননেরও। নিজেকে গুটিয়ে নেন নিজের মধ্যে। ঘরের চার দেয়ালকেই বেছে নেন আশ্রয়ের জন্য। রাগে-দুঃখে সারাক্ষণ চলে কান্নাকাটি, নাওয়া-খাওয়া ভুলে অতীতের স্মৃতি আঁকড়ে পড়ে থাকতে ভালবাসেন। আর অন্য কোন মেয়ের কারণে রেলেশন ভেঙে গেলে সেই মেয়ের চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করেন। মেয়েটি দেখতে কেমন বা তার আর সব আচরণ কেমন যার কারণে তিনি এতটা নিচে নেমে এলেন তাকে দেখার ও জানার ইচ্ছা অনুভব করেন। এক্ষেত্রে কাজে লাগান তাদের বন্ধু-বান্ধবদের। যাতে তারা সেই মেয়ে সম্পর্কে সব খবরাখবর এনে দিতে পারেন।
এ তো গেল লক্ষণগুলো। তারপর সেই পরিস্থিতি থেকে কিছুটা বেরিয়ে আসতে ভাবেন তার সাথে একটু যদি ফোনে কথা বলতে পারতেন। আবার অনেকে হয়ত বার বার ফোনে মিস কল দেন বা একটু খানি কন্ঠ শুনতে চান। পুরনো প্রেমিকের দেয়া উপহারগুলো নেড়েচেড়ে দেখতে চান। ফেসবুকে একাউন্ট থাকলে প্রতিদিন একবার করে সেই প্রোফাইলে ঢু মারেন, ছবি দেখেন। প্রোফাইলে ঢু মারার প্রধান উদ্দেশ্য অন্য কোন মেয়ের সাথে তার সম্পর্ক হলো কিনা তা খুঁজে দেখা বা রিলেশনশিপ স্টেটাস দেখা।
অনেকেই শান্তনা খুঁজে নেন সম্পর্ক ভাঙার পেছনের কারণ খুঁজে। খুজে খুজে বের করেন দোষ তো তার নিজের ছিলনা। পজেটিভ দিকগুলো না দেখে নেগেটিভ গুলো চিন্তা করে নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকার অভিনয় করেন অনেকেই।
এ সময়ের ডায়ালগ-
১. “যা হয়েছে ভালোর জন্য হয়েছে, ”এ সম্পর্ক এমনিতেই আমার বাসা থেকে মেনে নিতনা”।
২. সব ছেলেরাই এমন, তাদের ভালবাসা এ্ক সময় কমে যায়, ভালোই হয়েছে একে বিয়ে করিনি”।
৩. “ও আমার সাথে সম্পর্ক ভেঙে দিয়েছে? তাতে কি? আমিও দেখবো ও আমার চাইতে কোন ভালো মেয়ে পাই কিনা”।
৪. “আমি বিয়ে করে আমার জামাই নিয়ে ওর চোখের সামনে ঘুরবো”।
বন্ধুদের স্বান্তনা:
এসময় বন্ধুরা যারা রেলিশনের ব্যাপারে জানতো তারা আসে স্বান্তনা দিতে। স্বান্তনা দেয়ার বদলে অনেকেই আরো জ্বালিয়ে যান তুষের আগুন। তাদের ডায়ালগগুলো হয় এমন-
১. “এইটা একটা কথা হলো? ও তোর সাথে এমন করবে কেন”?
২. “তুই চিন্তা করিসনা, আমি ওর সাথে একবার কথা বলে দেখবো”।
৩. “আরে বাদ দে, সব ছেলেরাই এমন”।
৪. “ এইজন্যই তো ওরে কদিন থেকে ঐ মেয়েটার সাথে ঘুরতে দেখছিলাম”।
৫. “যা হয় ভালোর জন্যই হইছে”।
নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকা:
ব্রেকআপের ইমোশনাল পর্যায় পার করার পর মেয়েরা নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
তারা চায় সব সময় ব্যস্ত সময় কাটাতে যাতে পুরনো স্মৃতিগুলো সহজে ভুলে থাকতে পারে। এক্ষেত্রে তাদের প্রথম পছন্দ হয় শপিং। অযথা শপিং করে টাকা-পয়সা খরচ করতে তারা পিছপা হয়না। তারপর বিউটি পার্লারে ছোটেন নিজের রুপ চর্চায় ব্যস্ত থাকতে। অনেকেই নানা রকম কোর্স করে নিজেকে ব্যস্ততায় রাখতে চান।
বন্ধুদের সাথে সময় কাটানো:
অনেকেই হয়তো সম্পর্ক চলাকালীন বন্ধুদের সময় দিতে পারতেন না। এই সুযোগে আবারো বন্ধুদের কাছাকাছি আসার চেষ্টা করেন। বন্ধুদের সাথে আড্ডা, ঘুরাঘুরিতে মেতে ওঠেন।
অন্যরকম অনুভূতি:
ব্রেকআপের পর বন্ধু মহলে এমন অনেক বন্ধু থাকেন বিপরীত লিঙ্গের। যাদের তখন খুব বেশি আপন মনে হয়। মেয়েরা সব সময় চায় তাদের সঙ্গ। কেননা একটা পুরুষ আরেক পুরুষের স্বভাব বুঝতে পারবে ভেবে সে তাকে তার প্রেমিকের সব চাওয়া পাওয়া বা তার নিজস্ব চাওয়া পাওয়া খুলে বলে। সেই একজন বিশেষ বন্ধুর সান্নিধ্যে অনেকেই পুরনো প্রেমিককে অনেক সহজেই ভুলতে পারেন। তবে সেই বন্ধুটির প্রতি হঠাৎ করেই দুর্বল হয়ে পড়তে পারেন। তারপর সেই ভালো লাগা থেকে …................
ব্রেকআপের ঠিক পরবর্তী পর্যায়:
এই সময়টা একটা মেয়ের জীবনের সব চাইতে খারাপ সময়। ব্রেকআপটা তার নিজের ইচ্ছায় হোক বা না হোক। সে অনেক ইমোশনাল থাকে। অনেকেই এ ক্ষেত্রে তীব্র ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে নিয়ে নেন ভুল সিদ্ধান্ত। সম্পর্ক ভেঙে চলে আসার পর হয়ত বাড়িতে জানিয়ে দেন তিনি বিয়ের জন্য প্রস্তুত। তারপর ধীরে ধীরে নিজের ভুল বুঝতে পারেন কিন্তু ততদিনে দেরি হয়ে গেছে বেশ। আবার অনেকেই এমন সিদ্ধান্ত না নিলেও ভেঙে পড়েন একেবারেই। নিজের জীবনের মূল্যই নেই এমনটিও ভাবেন অনেকে। চেষ্টা করেন আত্মহননেরও। নিজেকে গুটিয়ে নেন নিজের মধ্যে। ঘরের চার দেয়ালকেই বেছে নেন আশ্রয়ের জন্য। রাগে-দুঃখে সারাক্ষণ চলে কান্নাকাটি, নাওয়া-খাওয়া ভুলে অতীতের স্মৃতি আঁকড়ে পড়ে থাকতে ভালবাসেন। আর অন্য কোন মেয়ের কারণে রেলেশন ভেঙে গেলে সেই মেয়ের চৌদ্দগুষ্টি উদ্ধার করেন। মেয়েটি দেখতে কেমন বা তার আর সব আচরণ কেমন যার কারণে তিনি এতটা নিচে নেমে এলেন তাকে দেখার ও জানার ইচ্ছা অনুভব করেন। এক্ষেত্রে কাজে লাগান তাদের বন্ধু-বান্ধবদের। যাতে তারা সেই মেয়ে সম্পর্কে সব খবরাখবর এনে দিতে পারেন।
এ তো গেল লক্ষণগুলো। তারপর সেই পরিস্থিতি থেকে কিছুটা বেরিয়ে আসতে ভাবেন তার সাথে একটু যদি ফোনে কথা বলতে পারতেন। আবার অনেকে হয়ত বার বার ফোনে মিস কল দেন বা একটু খানি কন্ঠ শুনতে চান। পুরনো প্রেমিকের দেয়া উপহারগুলো নেড়েচেড়ে দেখতে চান। ফেসবুকে একাউন্ট থাকলে প্রতিদিন একবার করে সেই প্রোফাইলে ঢু মারেন, ছবি দেখেন। প্রোফাইলে ঢু মারার প্রধান উদ্দেশ্য অন্য কোন মেয়ের সাথে তার সম্পর্ক হলো কিনা তা খুঁজে দেখা বা রিলেশনশিপ স্টেটাস দেখা।
অনেকেই শান্তনা খুঁজে নেন সম্পর্ক ভাঙার পেছনের কারণ খুঁজে। খুজে খুজে বের করেন দোষ তো তার নিজের ছিলনা। পজেটিভ দিকগুলো না দেখে নেগেটিভ গুলো চিন্তা করে নিজের সিদ্ধান্তে অটল থাকার অভিনয় করেন অনেকেই।
এ সময়ের ডায়ালগ-
১. “যা হয়েছে ভালোর জন্য হয়েছে, ”এ সম্পর্ক এমনিতেই আমার বাসা থেকে মেনে নিতনা”।
২. সব ছেলেরাই এমন, তাদের ভালবাসা এ্ক সময় কমে যায়, ভালোই হয়েছে একে বিয়ে করিনি”।
৩. “ও আমার সাথে সম্পর্ক ভেঙে দিয়েছে? তাতে কি? আমিও দেখবো ও আমার চাইতে কোন ভালো মেয়ে পাই কিনা”।
৪. “আমি বিয়ে করে আমার জামাই নিয়ে ওর চোখের সামনে ঘুরবো”।
বন্ধুদের স্বান্তনা:
এসময় বন্ধুরা যারা রেলিশনের ব্যাপারে জানতো তারা আসে স্বান্তনা দিতে। স্বান্তনা দেয়ার বদলে অনেকেই আরো জ্বালিয়ে যান তুষের আগুন। তাদের ডায়ালগগুলো হয় এমন-
১. “এইটা একটা কথা হলো? ও তোর সাথে এমন করবে কেন”?
২. “তুই চিন্তা করিসনা, আমি ওর সাথে একবার কথা বলে দেখবো”।
৩. “আরে বাদ দে, সব ছেলেরাই এমন”।
৪. “ এইজন্যই তো ওরে কদিন থেকে ঐ মেয়েটার সাথে ঘুরতে দেখছিলাম”।
৫. “যা হয় ভালোর জন্যই হইছে”।
নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত থাকা:
ব্রেকআপের ইমোশনাল পর্যায় পার করার পর মেয়েরা নিজেদের নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
তারা চায় সব সময় ব্যস্ত সময় কাটাতে যাতে পুরনো স্মৃতিগুলো সহজে ভুলে থাকতে পারে। এক্ষেত্রে তাদের প্রথম পছন্দ হয় শপিং। অযথা শপিং করে টাকা-পয়সা খরচ করতে তারা পিছপা হয়না। তারপর বিউটি পার্লারে ছোটেন নিজের রুপ চর্চায় ব্যস্ত থাকতে। অনেকেই নানা রকম কোর্স করে নিজেকে ব্যস্ততায় রাখতে চান।
বন্ধুদের সাথে সময় কাটানো:
অনেকেই হয়তো সম্পর্ক চলাকালীন বন্ধুদের সময় দিতে পারতেন না। এই সুযোগে আবারো বন্ধুদের কাছাকাছি আসার চেষ্টা করেন। বন্ধুদের সাথে আড্ডা, ঘুরাঘুরিতে মেতে ওঠেন।
অন্যরকম অনুভূতি:
ব্রেকআপের পর বন্ধু মহলে এমন অনেক বন্ধু থাকেন বিপরীত লিঙ্গের। যাদের তখন খুব বেশি আপন মনে হয়। মেয়েরা সব সময় চায় তাদের সঙ্গ। কেননা একটা পুরুষ আরেক পুরুষের স্বভাব বুঝতে পারবে ভেবে সে তাকে তার প্রেমিকের সব চাওয়া পাওয়া বা তার নিজস্ব চাওয়া পাওয়া খুলে বলে। সেই একজন বিশেষ বন্ধুর সান্নিধ্যে অনেকেই পুরনো প্রেমিককে অনেক সহজেই ভুলতে পারেন। তবে সেই বন্ধুটির প্রতি হঠাৎ করেই দুর্বল হয়ে পড়তে পারেন। তারপর সেই ভালো লাগা থেকে …................
No comments:
Post a Comment